গাজার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনাহারে বেশি মানুষ মারা গেছে: নেতানিয়াহু

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেয়ায় মাত্র কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইল গাজাবাসীকে পদ্ধতিগতভাবে অভুক্ত রাখছে বলে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত বা আইসিসি যে অভিযোগ করেছে তাকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম খান সোমবার নেতানিয়াহুর পাশাপাশি ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য অভিযোগের পাশাপাশি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে গাজাবাসীকে অভুক্ত রাখার অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একটি জনগোষ্ঠীকে অভুক্ত রেখে মেরে ফেলা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইসরাইল গাজায় খাদ্য গ্রহণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ত্রাণ সরবরাহের কাজে ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

আইসিসির চিফ প্রসিকিউটরের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তিনি স্থলপথে গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়ার পাশাপাশি আকাশ থেকেও সেখানে খাদ্য ফেলেছেন। গাজা উপত্যকায় খাদ্যদ্রব্যের দাম শতকরা ৮০ ভাগ কমে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি বলছে, গাজায় খাদ্য ঘাটতি নেই।

নেতানিয়াহু বলেন, আমি যতদূর শুনেছি গাজার ২০ লাখ জনসখ্যার মধ্যে মাত্র ২৩ জন বা ৩০ জন অনাহারে মারা গেছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে ২০,০০০ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল যা গাজার চেয়ে তিন গুণ বেশি।

গাজার হাসপাতালগুলোর বাইরে অনাহারে কতো মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব নেই। তবে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, খাদ্য ও খাবার পানির অভাবে গত ১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ শিশুসহ অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.