ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলের মরদেহ উদ্ধার (ভিডিও)

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমসহ বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট প্রধান পিরহোসেন কুলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টিভিকে জানান, আমরা নিহতদের মরদেহ তাবরিজে স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছি। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

এর আগে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় ১৫ ঘণ্টা অনুসন্ধান কাজ চালানোর পর আজ সকাল ৭টা নাগাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া য়ায়। প্রাপ্ত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ঘন পাহাড়ি জঙ্গলে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। হেলিকপ্টারের লেজের একটি অংশ ছাড়া বাকি পুরো অংশ আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।

গতকাল আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রায়িসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। প্রেসিডেন্ট গতকাল সকালে তেহরান থেকে বিমানে করে তাবরিজে পৌঁছান এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলাধার উদ্বোধনের স্থানে পৌঁছেন।

হেলিকপ্টারের মোট ৯ আরোহীর বাকি পাঁচ আরোহী হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ মেহদি মুসাভি (প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী), আনসারুল মাহদি বাহিনীর এক সদস্য (পরিচয় জানা যায়নি), পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), কো-পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), ক্রু (পরিচয় জানা যায়নি)। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.