আসরের শুরু থেকে নিয়মিতই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। যদিও গত ১ মে দেশে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের এই পেসারকে। ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আইপিএল শেষ করেন বাঁহাতি এই পেসার। মূলত জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দেশে ফেরত আনা হয়েছিল ফিজকে। এ ছাড়া আসরের শুরু থেকেই কনওয়েকে পায়নি চেন্নাই। ইনজুরির কারণে দলের সঙ্গে থাকলেও ম্যাচ খেলতে পারেননি কিউই এই ওপেনার। আসরের শুরু থেকে পাথিরানা ছিলেন ইনজুরিতে। এরপর চেনাইয়ের হয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট নিয়ে দেশে ফিরে যান লঙ্কান এই পেসার।
এদিকে গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হেরে এবারের আইপিএল মৌসুম এখানেই শেষ করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। তাই মৌসুমের অন্তিমলগ্নে এই তিন ক্রিকেটারকেই স্মরণ করেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ। তিনি বলেন, ‘মৌসুমের শুরুটা আমরা ভালো করেছি। এজন্য খুশি যে ১৪ ম্যাচের মধ্যে আমরা সাতটা জিতেছি। শেষ দুই বলের ব্যবধানে আমরা লাইন অতিক্রম করতে পারিনি। তবে আমরা যে ধরনের ইনজুরির মধ্যে দিয়ে গেছি, আমাদের সামনের সারির দুইজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।’
চেন্নাইয়ের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা, এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম ইনজুরি চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে ইনজুরি, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু না। এইদিক দিয়ে আমরা খুশি। শেষ দুই বলে ১০ রান লাগত, ম্যাচটি যেকোনো দিকে যেতে পারত বলে আমি মনে করি।’
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.