শুক্রবার ওয়াংখেড়েতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তিনবার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়েছে দলটি।
প্রথমবার স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ার পর হার্দিককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের জন্য হার্দিকের জরিমানা হয় ২৪ লাখ রুপি। একইসাথে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ দলের বাকি যারা মাঠে নেমেছিলেন, তাদের ৬ লাখ টাকা করে, অর্থাৎ ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা দিতে হয়েছিল।
আর তৃতীয়বার ম্যাচ না খেলার শাস্তি পেলেন হার্দিক। ফলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন দলটির অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। চলতি মৌসুমে যেহেতু মুম্বাই শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে পরের আইপিএলের (২০২৫) প্রথম ম্যাচে খেলা হবে না হার্দিকের। এমনকি মুম্বাই ছেড়ে যদি অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হার্দিক যান, তাহলেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। অর্থাৎ, এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকছেন এই অলরাউন্ডার।
চলতি আইপিএলে এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পান্তের এমনটা হয়েছিল। তিন ম্যাচ স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়ে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে চলতি আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচটি ১৮ রানে হারে মুম্বাই। এই নিয়ে ২০২৪ আইপিএলে ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই হারল হার্দিকের দল। যার ফলে পয়েন্ট টেবিলের শেষে থেকেই এবারের আইপিএলে ইতি টানল দলটি।
গত তিন বছরে এ নিয়ে দু’বার আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে শেষ করল মুম্বাই। এর আগে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ২০২২ সালে মুম্বাই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল। তবে ২০২৩ সালে রোহিতের অধিনায়কত্বেই তারা প্লে-অফে উঠেছিল।
অর্থসূচক/ এএইচআর