‘কান পেতে রই’ এর মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধের ১১ বছর

‘কান পেতে রই’ এর মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধের ১১ বছর পার হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) ব্র্যাক সেন্টার ইনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. সিমিন হোসেন রিমি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এর অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) লাইন ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন,

সাজিদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজ্জা কবির এবং অধ্যাপক ও লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কান পেতে রই এর ফাউন্ডার ইয়েসিম ইকবাল বলেন, কান পেতে রই একটি মানসিক সহায়তা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধ হেল্পলাইন। যে কেউ শুধু কল দিয়ে সাহায্য নিতে পারে। আমাদের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা গোপনীয়তা নিশ্চিত করে সহমর্মিতা ও মনযোগসহকারে কথা শোনার মাধ্যমে মানসিক সহায়তা প্রদান করে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এই কল সেন্টার প্রতিদিন ১২ ঘন্টা খোলা থাকে এবং দিনে ৪০টি কল আসে। সাহায্য প্রার্থীদের কল রেকর্ড করা হয় না। কারণ তাহলে অনেকের অনীহা তৈরি হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. সিমিন হোসেন রিমি বলেন, একজন মহিলার হরমোন চেঞ্জিংয়ের সময়ে বড় সাপোর্ট দরকার হয়। বাচ্চা হওয়ার সময় হরমোনাল চেইঞ্জ আসে। গর্ভপতি মেয়ে ও ক্যান্সার নিয়ে আমি বহু আগে থেকে কাজ করি। এজন্য এসব বিষয়ে আমি আগে থেকেই জানি। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে পারলে মানুষের কষ্ট অনেক কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে আত্মহত্যা বেশি হয়। তাদের মধ্যে অনেকের চুন ও সুপারি খাওয়ার কারণে ওরাল ক্যান্সার বেশি হয়। এসব যায়গায় আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিষন্নতা একটি বড় ইস্যু। রবীন্দ্রনাথ ৬৫ বছর বয়সে আত্মহত্যার চিন্তা করছিলেন। আমিও এসব চিন্তা করি, তবে সেটা ওভারকাম করতে পারি। উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাবে ইভটিজিং বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এটার সঙ্গে কানপেতে যুক্ত হতে পারে। সহজলভ্য হওয়ায় কিটনাশক দিয়ে বেশি আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রোবিদ আমিন বলেন, সুইসাইড একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। আত্মহত্যা করতে পারলে বেচে যায়, আর করতে না পারলে পুলিশ কেচ হয়। মহিলারা বাংলাদেশে অনেক বেশি সুইসাইড করে। গণমাধ্যমকেও ট্রেইনআপ করতে হবে, যাতে করে আত্মহত্যার নিউজ গ্লোরোফাই না হয়।

সাজিদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজ্জা কবির বলেন, এ কান পেতে রই এগারো বছর ধরে টেনে আনা বড় উদ্যোগ। ভলেন্টিয়ারদের সারা বাংলাদেশে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তা নিয়েই এটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এই কাজ করার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় সমস্যা। এছারা মানসিক স্বাস্থ্য আলাদা গুরুত্বের যায়গায় এখনো আসেনি।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.