একজন সিনিয়র ফিল্ড কমান্ডারের নিহতের প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।
মঙ্গলবার রাজধানী বৈরুত থেকে ৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণে লেবাননের তায়ির শহরে একটি চলন্ত গাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার হুসেইন ইব্রাহিম মাক্কিকে হত্যা করে ইসরাইল। ওই হামলায় মাক্কির আরো দুই সহযাত্রী নিহত হন।
এর পরদিন ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি সেনা অবস্থানে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এ সংক্রান্ত খবরাখবর প্রচার করেনি তেল আবিব।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন দখলদার ইসরাইলের ‘মেরন’ সেনা ঘাঁটিতে কয়েক ডজন কাতিউশা ক্ষেপণাস্ত্র, ভারী রকেট ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে। সেইসঙ্গে আরো একটি সেনা অবস্থানে বেশ কয়েকটি ভারী রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এরপর লেবানন সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিবেরিয়াস শহরের নিকটবর্তী একটি ইসরাইলি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। ওই ঘাঁটির ‘নজরদারি ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা’কে টার্গেট করে ড্রোনগুলো নিক্ষেপ করা হয় যেগুলো সঠিকভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানে। বুধবারের এই সীমিত অভিযান সফল হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার জবাবে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে উত্তর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। তবে সংগঠনটি লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ইসরাইলের সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধ পরিহার করছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.