বিকল্প থাকলেও লিটনকে বাদ দিতেন না শান্ত

২০২২ সালটা একেবারে স্বপ্নের মতো কাটিয়েছিলেন লিটন। তিন সংস্করণ মিলে ৪২ ম্যাচে ৪০.০২ গড়ে করেছিলেন ১ হাজার ৯২১ রান। পরের বছর ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১ হাজার ১১৫ রান। অথচ চলতি বছরে ব্যাট হাতে রানের দেখাই পাচ্ছেন না তিনি। বরং বারংবার হোঁচট খাচ্ছেন, রান তুলতেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ২০২৪ সালে সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলেছেন লিটন। ১২ ইনিংসে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের এই ওপেনার ১২.১৬ গড়ে করেছেন মাত্র ১৪৬ রান।

এখন পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি করতে না পারা লিটন চারবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো করতে না পারায় শেষ ওয়ানডের দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। নিজের সেরা ছন্দে ফিরতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে বিরতিও নিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সি এই ব্যাটার। বিরতি কাটিয়ে ডিপিএলে ফিরলেও সহজাত ব্যাটিং করতে পারেননি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করলেও অপরাজিত ৫৬ রান করতে লিটন খেলেছিলেন ১০৬ বল।

মাত্র ৫২.৮৩ স্ট্রাইক রেটে রান করা লিটনের ব্যর্থতা অব্যাহত ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। সিকান্দার রাজার দলের বিপক্ষে খেলা তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ১, ২৩ ও ১২ রান। এমন পারফরম্যান্সের পরও বিশ্বকাপ দলে থাকায় সমালোচনা হচ্ছে ব্যাপক। অতীতের মতো ভুল করে হুট করেই নতুন কাউকে দলে আনার পক্ষে ছিলেন না শান্ত।

বাংলাদেশ অধিনায়কের বলেন, ‘লিটনের ব্যাপারে আমরা চাইনি শেষ মুহূর্তে নতুন একজন খেলোয়াড় আসুক। আমরা যে ভুলটা হয়ত অতীতে করেছি কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম যে দলটা আমাদের থাকবে এই দলটাকে নিয়েই আমরা বিশ্বকাপে যাবো। ওই বিশ্বাসটা যেন সবার থাকে এবং সবাই যেন ক্লিয়ার মাইন্ড থাকে। দলের সবাই ক্লিয়ার মাইন্ড আছে, সবাই সবার ভূমিকাটা জানে। আশা করব যে সবাই ওইখানে গিয়ে ওইভাবে ডেলিভার করবে।’

সবশেষ এক বছর ধরেই প্রায় গোছানো একটা দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ। বিপিএলের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে-শান্তরা। স্কোয়াডের দুই-একজন ছাড়া বাকি সবার জায়গা নিশ্চিতই ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

লিটনকে নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘না, কখনই করতাম না। কারণ আমি যেটা বললাম যেটা বুঝাতে চেয়েছি এই সিরিজটা শুরুর আগে এমনকি তারও আগে হয়ত শ্রীলঙ্কা থেকে আমরা আস্তে আস্তে বিশ্বকাপে আমাদের কি কম্বিনেশন হবে, কি করব এটা নিয়ে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম দুই-একজন ছাড়া। সুতরাং আমরা ওই জায়গায় চেয়েছি যে ম্যাচগুলো খেলে যত ভালো প্রস্তুত হয়ে যেতে পারি। এখানে কেউ সফল হবে কেউ হবে না। কিন্তু ওই জায়গায় আমরা কেউই দ্বিধায় ছিলাম না হঠাৎ করেই কাউকে পরিবর্তন করবো খারাপ খেলার পর। এই যে সিরিজগুলো আমরা খেললাম পুরোটাই ছিল আমরা এখান থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়াবো কিভাবে বা আমাদের কোন জায়গায় সমস্যা আছে এগুলো কিভাবে ঠিক করবো। সুতরাং ওই জিনিসটা আমরা করার চেষ্টা করেছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.