পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পোশাক বিক্রি বেড়েছিল দ্বিগুণ। গত মার্চে ৩৪৪ কোটি টাকার পোশাক কেনায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয়। যেখানে এর আগের মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে ১৫০ কোটি টাকার পোশাক কেনায় কার্ড ব্যবহার হয়েছিলো। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মানুষের মধ্যে কেনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত মার্চে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের ভেতরে খরচ হয়েছে দুই হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, বাকিটা বিদেশে।
বাংলাদেশের ভেতরে বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ছয় শতাংশ কমে হয়েছে ২২৬ কোটি টাকা। টাকার হিসাবে, বাংলাদেশে বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচের তুলনায় বাংলাদেশি কার্ডধারীদের বিদেশে খরচের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি।
দেশের ভেতরে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন গত মার্চ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুচরা পরিষেবা, ইউটিলিটি বিল, নগদ উত্তোলন, ওষুধ-ফার্মেসি ও পরিবহন খরচ মেটানো ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে সামান্য বেড়েছে।
জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের প্রায় ৭১ শতাংশ ভিসা, প্রায় ১৮ শতাংশ মাস্টারকার্ড ও প্রায় ১১ শতাংশ অ্যামেক্স কার্ডের মাধ্যমে হয়েছিল।
আন্তঃসীমান্ত লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ক্রেডিট কার্ডে বেশিরভাগ লেনদেন হয়েছে ভারতে। এটি বৈদেশিক লেনদেনের প্রায় ২১ শতাংশ। বাকি আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে ১৩ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ শতাংশ, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডে সাত শতাংশ করে এবং সিঙ্গাপুরে ছয় শতাংশ।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.