জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে টাইগাররা। দল হিসেবে ভালো করলেও এই সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৮১ রান। গড় ১৬.২০ আর স্ট্রাইক রেট ১০৩.৮৫।
এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে স্বাভাবিক। সিরিজ শেষে শান্ত জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে সেটা মনে হয় না। কারণ আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট…কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এবার রান বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্যাটাররা। অনেকেই ১৬০-২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধোনা করছেন। শান্তর ভাষ্য, ‘আমার তো মনে হয় না। কারণ আইপিএল যে উইকেটে হয়েছে..আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয় লাস্ট ইয়ার পিএসএলেও এরকম রান হয়েছে, ২০০ প্লাস, আড়াইশ রানও হয়েছে । কিন্তু আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর।’ সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে বরাবরই প্রতিযোগীতামূলক উইকেটে খেলতে দেখা যায়। ফলে শান্তর বিশ্বাস এবারের বিশ্বকাপেও গড়ে ১৬০-১৮০ মধ্যেই রান তুলতে পারবে দলগুলো। এর মধ্যেই প্রতিপক্ষকে আটকাতে হবে। তাই শুধু শুধু আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনা টানাটাও অযৌক্তিক শান্তর কাছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.