গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি মারা যান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে লিফটে আটকে পড়াদের উদ্ধার করেন। মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।
মমতাজের মেয়ে শারমিন আক্তার জানান, আজ সকালে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান তার মায়ের হার্টে সমস্যা। পরে ১১ তলা থেকে লিফটে ৪ তলার হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার কথা বলেন। তাদের কথামতো লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিন জন লিফটম্যানকে কল দেই। কিন্তু তারা গাফিলতি করে। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে ৪৫ মিনিট আমরা লিফটের ভেতরে আটকে থাকি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দেই। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আমাদের উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফটে আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকা সবাই সুস্থ ছিলেন কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.