সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিও জিতে নেয় বাংলাদেশ। রবিবার জিম্বাবুয়েকে হারালেই হোয়াইটওয়াশ করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেই লক্ষ্যেই শুরুতে ব্যাট করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা।
হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ এদিন একাদশে আনে ৩ পরিবর্তন। বাইরে রাখা হয় তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও তানভির ইসলামকে। তাদের জায়গায় একাদশে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
এদিন টস হেরে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় টাইমিং পাননি তানজিদ হাসান। শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ বলে ২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান। এরপরের ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন সৌম্য সরকার। ব্রায়ান বেনেটের লাফানো ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে সৌম্যর ব্যাটের ওপরের কানায় লাগে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন শন উইলিয়ামসন। ৭ বলে ৭ রান করেন সৌম্য।
দুই ওপেনারকে হারানোর খানিক পরই তাওহিদ হৃদয়কেও হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করার চেষ্টায় ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হন ৬ বলে ১ রান করা হৃদয়। ৩ ব্যাটারকে হারালেও মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লে’তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ৫০’র ঘরে নিয়ে যান দুজন। বিপর্যয় সামাল দিয়ে নিজেদের মাঝে ৫০ রানের জুটিও গড়েন তারা। অবশ্য দশম ওভারে অল্পের জন্য বেঁচে যান শান্ত। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ক্রিজ ছেড়ে মারার চেষ্টায় তার ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে।
থার্ড ম্যাচে ক্যাচের সুযোগ এলেও পেছন দিকে দৌড়ে নিতে পারেননি লুক জঙ্গুয়ে। ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৭০ রান। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত। মাসাকাদজার বল লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে পরের বলেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন শান্ত।
ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলকে ১০০’র ঘরে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বলে এই ব্যাটার তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে সঙ্গীর হাফ সেঞ্চুরির পর লুক জঙ্গিয়েকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হন সাকিব। ১২৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। খানিক পর মুজারাবানিকে উইকেট দিয়ে ৪৪ বলে ৫৪ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহও।
শেষ দুই ওভারে দায়িত্বটা ছিল সাইফউদ্দিন ও জাকের আলি অনিকের কাঁধে। শেষ ওভারের প্রথম বলে মুজারাবানিকে ৬ হাঁকিয়ে দলকে ১৫০’র ঘরে নিয়ে যান জাকের। এই দুজন মিলে প্রথম ৪ বলে যোগ করেন ১০ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.