ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দিল আর্জেন্টিনাসহ যেসব দেশ

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বেশিরভাগ দেশ। শুক্রবার রাতে ওই পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে বেশিরভাগ সদস্যদেশ ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদকে অনুরোধ জানিয়েছে।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। ২০১২ সালে এটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছিল। একটি রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য প্রথমে তাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং এরপর সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে। শুক্রবারের ভোটাভুটিতে সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দেশের সমর্থন লাভ করেছে ফিলিস্তিন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি দেশও ভেটো দেবে ততক্ষণ পূর্ণ সদস্যপদ পাবে না রাষ্ট্রটি। ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার প্রতিটি প্রচেষ্টা ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছে।

এদিকে গতকালের ভোটাভুটিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশই এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেয়। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ মাত্র নয়টি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে রায় দেয়। রাষ্ট্রগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ, পাপুয়া নিউগিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র। আর ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।

গত ১৮ এপ্রিল সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে ভেটো দেয় আমেরিকা। তবে সাধারণ পরিষদে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগই রাখা হয়নি বলে শুক্রবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে এ ধরনের একটি প্রস্তাব গৃহিত হতে পেরেছে।

সাধারণ পরিষদের এই ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও অতিরিক্ত কিছু সুবিধা ভোগ করবে ফিলিস্তিন। যেমন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে তারা। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ ফিলিস্তিনি পাবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর যখন ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা চলছে তখন এ প্রস্তাব পাস হলো। আমেরিকাসহ প্রায় প্রতিটি পশ্চিমা দেশের জনগণ এখন রাস্তায় নেমে ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার পক্ষে আন্দোলন করছে। এ কারণে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে এই বিপুল সমর্থনকে হামাসের ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.