বাংলাদেশের পুঁজি ১৬৫

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছিল বাংলাদশ। প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি।

মুজারাবানির করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় বলে টানা স্কুপ করার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। চতুর্থ বলেও স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে ইন সাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভেঙে যায়। ফলে ১৫ বলে ১২ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে সিকান্দার রাজাকে চার মেরে স্বাগতম জানিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন বল পরে রাজার স্কিড করে ভেতরে ঢোকা আর্ম বলে বোল্ড হয়ে আউট হয়েছেন শান্ত। ফলে ৪ বলে ৬ রান করেই ফিরে যেতে হয় তাকে। এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ হাসান তামিমও ফিরে গেছেন।

তাকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ফারাজ আকরাম। বেশ ভালোই খেলছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে ধৈর্য্যহারা হয়ে উইকেট থেকে বেরিয়ে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্লাইভ মাদান্দের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ফলে ২২ বল ২১ রানের ইনিংস শেষ হয় তার। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। হৃদয় শুরুতে ধরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতখুলে খেলেছেন। ৩৪ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। জাকের অবশ্য ক্রেইগ আরভিন ও ব্র্যায়ান বেনেটের ভুল বোঝাবুঝিতে জীবন পেয়েছেন মিড উইকেটে।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কুপ করে মুজারাবানিকে ৪ মেরেছিলেন হৃদয়। পরের বলেই দারুণ এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের এই পেসার। ফলে হৃদয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৮ বলে ৫৭ রানে। দুই বল পর আরেকটি ইয়র্কারে জাকেরের স্টাম্প ভেঙেছেন মুজারাবানি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন জাকের। মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার মুজারাবানি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রিশাদ হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৫ রানে পৌঁছে দিয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.