অস্ত্র আইনের পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা সাত কেজি অবৈধ স্বর্ণালংকার, বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা রাখার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন’ মনির।
গত ৫ মে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চারজন ব্যক্তি আদালতে জানিয়েছেন যে, স্বর্ণ, অস্ত্র এবং অন্যান্য জিনিস উদ্ধারের সময় তারা মনিরের বাসায় উপস্থিত না থাকলেও সাদা কাগজে (জব্দ তালিকা) সই করার জন্য তাদের চাপ দিয়েছিল র্যাব।’ তাছাড়া, প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ ও অন্য সাক্ষীদের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই বিচারক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আপিলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রসিকিউটর জানান, পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা, বিপুল স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানানো হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছিল র্যাবের পক্ষ থেকে। পরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মনিরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল।
র্যাবের তিন মামলার মধ্যে অস্ত্র মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি মনিরকে খালাস দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। গত রোববার খালাস পেয়েছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়। র্যাবের করা মাদক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। সিআইডির মামলা তদন্তাধীন, দুদকের মামলাটি বিচারাধীন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.