নির্বাচনে কে এলো কে এলো না, এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না, এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা। যারা নির্বাচন করবে তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন, দুইজন, চারজন, পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়। এটা নিয়মরক্ষার ভোট নয়, নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। আমাদের কাজ নির্বাচন আয়োজন করা, কে কোন দলের প্রার্থী এটা কোনো বিষয় না। আমরা দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি না। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি। যদি একজন প্রার্থী থাকে তবে ভোট হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়মরক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন। ১৪০ উপজেলায় ভোট হবে। ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭-১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। পার্বত্য এলাকায় ১৯-২১ জন থাকবেন। আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহজ হবে। যারা প্রার্থী ও তাদের কর্মী উশৃঙ্খল আচরণ করে তা দূরহ হয়ে পড়ে। টোটাল ভোট স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন উৎসাহ উদ্দীপনায় হয়। জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় নির্বাচন বেশি জমজমাট হবে।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যাতে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আইন শৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবনে পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। নির্বাচনে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সংশ্লিষ্টরা নিয়ম কানুন প্রতিপালন করলে নির্বাচনটা সহজ হবে; তারা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা দুরূহ হবে। এবার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থীসহ সবার সঙ্গে মত বিনিময় করা হয়েছে। নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেককে নিবৃত করতে পেরেছি। হয়ত বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক-যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয় কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.