মোহাম্মদ আমিরের স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা পাকিস্তানের ক্রিকেটের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে। এই ঘটনার দেড় দশক পার হলেও এখনও বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনা হয় সেই ঘটনা নিয়ে। ফিক্সিংয়ের ঘটনায় শাস্তিও পেয়েছেন আমির। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সও করেছেন। পরে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই পেসার। অবসর থেকে ফিরে আবারও পাকিস্তান দলে স্থায়ী হয়েছেন তিনি। তবে সেই কালো অধ্যায় যেন পিছু ছাড়ছে না আমিরের।
নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত আমির বলেছেন, ‘সেই বড় ভুলের জন্য আমি শাস্তি ভোগ করেছি। যদি আমার ক্যারিয়ারের দিকে তাকান, আমি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলাম এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অবসরে ছিলাম, তাই আমি ৯টি বছর হারিয়েছি, তবে সবকিছুকে আমি আল্লাহর ইচ্ছা হিসাবে মেনে নিয়েছি এবং সামনে এগিয়ে চলেছি।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আমির। এর ফলে কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয়েছে তাকে। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০১৬ সালে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। ২০২০ সালে আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের মানসিক নির্যাতনকে এর পেছনে দায়ী করেন আমির। আশ্বাস দিয়েছিলেন সেই সময়ের ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড সরে গেলে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি। সেই আশ্বাস রেখেছেন আমির।
তিনি আবার পাকিস্তান দলে ফেরাতেই পুরোনো সব ঘটনা উঠে আসছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম না করে জাতীয় দলে ফেরায় অনেকে আমিরের সমালোচনা করছে। সেই সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন আমির।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার পরও আমাকে ও ইমাদকে জাতীয় দলে নির্বাচন করা নিয়ে কিছু লোক অনেক সমালোচনা করেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, পাকিস্তানের প্রধান ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কোনটা? পিএসএল। আর আমরা দুজন পিএসএলে খেলেছি এবং পারফর্ম করার পাশাপাশি অন্যান্য লিগেও নিয়মিত খেলছি। তাহলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জন্য আমাদের দলে নির্বাচন করতে দোষ কোথায়?’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.