হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এই আদালতের বিরুদ্ধে যে হুমকি দেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইসিসি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে এই জল্পনা জোরদার হয়েছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করার দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুদ্ধমন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট ও সেনাপ্রধান হেরজি হালেভির বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে।
এ অবস্থায় আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে জাতিসংঘের এই আদালত ও কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।
করিম খানের দপ্তর একটি এক্স পোস্টে একথা জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের হুমকি জাতিসংঘের এই স্থায়ী যুদ্ধাপরাধ আদালতের ‘বিচার প্রশাসনের’ বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল হতে পারে। আইসিসির দপ্তরের কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা, তাদের ভয়ভীতি দেখানো বা তাদের ওপর অবৈধ প্রভাব খাটানোর সব ধরনের চেষ্টা অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
করিম খানের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতির বরাত দিয়ে এক্স পোস্টে আরও বলা হয়, যখন কারও পক্ষ থেকে আদালত বা তার কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের হুমকি দেয়া হয়, তখন এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়। এ অবস্থায় আদালতের উচিত তার বৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করা, নিজ এখতিয়ারের অধীনে দায়ের করা মামলা বা তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।
করিম খানের দপ্তরের এক্স পোস্টে অবশ্য ঠিক কোন মামলার তদন্তের ব্যাপারে এ হুমকি দেয়া হয়েছে এবং কে বা কারা হুমকি দিয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে গত মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় এই আদালতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছিলেন, তেল আবিব আশা করে, ‘মুক্ত বিশ্বের’ নেতারা তার ভাষায় ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের’ বিরুদ্ধে আইসিসির ‘জঘন্য হামলার’ বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াবেন। এছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির যেকোনো পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করা ও তা ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনেটর। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.