তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরোদেশ। এই গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১১ জন মারা গেছেন বলে জানায় সংস্থাটি।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জন নতুন করে হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৯ দিনে ১৬ জন হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত নয় দিনে সারাদেশে ১৬ জন ব্যক্তি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায়ও দুজন আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি নারী, তিনি চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির বাসিন্দা।
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মৃতদের মধ্যে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ দুজন। এছাড়া একজন করে মারা গেছে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান এবং মাদারীপুরে।
এদিকে সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৮৯ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪২ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.