ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা প্রায় নিশ্চিত আবাহনী লিমিটেডের। আর মাত্র একটি ম্যাচে জিতলেই শিরোপা ঘরে তুলবে ডিপিএলের অন্যতম সফল দলটি। এরই মধ্যে বড় ধাক্কা খেয়েছে আবাহনী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে দলটির ১০ ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
আরও দুজন ক্রিকেটার আছেন ইনজুরিতে। এমন অবস্থায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না আবাহনী। একাদশ সাজাতেই হিমসিম খেতে হবে দলটিকে। এমন অবস্থায় দলটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের খেলতে নেমে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন বলেন, ‘না আসলে ওই বয়স তো নাই (নিজেই নেমে যাবেন কিনা) । মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। কঠিন (খেলে ফেলা), দল করাই কঠিন এখন। ১০জন খেলোয়াড় নাই, খালেদ আর জয় ইনজুরিতে। কাজেই ১২টা খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছ, এই ৬ জনের সঙ্গে আগে আমি এনেছিলাম আরও তিনজন, তাদের এনেছি। তাই ৯জন আছে। দেখি আরও দু’একজন পাওয়া যায় কিনা।’
আবাহনীর ক্রিকেটারদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলাম। এর মধ্যে খালেদ আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান জয় আছেন ইনজুরিতে।
যারা আছেন তাদের নিয়েই লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে সুজন বলেছেন, ‘যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব। ইচ্ছা তো ছিলো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
গুঞ্জন আছে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও আবাহনীর তিন ক্রিকেটার দলটির সঙ্গে মঙ্গলবারের ম্যাচটির জন্য যোগ দিতে পারেন। এই সমস্যা নিয়ে সুজন বলেন, ‘আমি জানি না কেউ আসবে কিনা। আমি আমার মতন যেখান থেকে পারি খেলোয়াড় নিয়ে আসছি। প্রথম বিভাগ যারা খেলেছে তাদের নিতে পারব না। একদম নিবন্ধিত নয় এমন খেলোয়াড় নিতে হবে। আমি রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি দুজন। চেষ্টা করছি ১২-১৩ জন যোগাড় করতে। খালেদ আর জয় ইনজুরি না হলে এত সমস্যা হতো না।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.