চীনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুধবার সাংহাই পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। সেখানে তিনি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর শুক্রবার যাবেন বেজিংয়ে। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হবে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি।

গতবছর জুনে ব্লিংকেন চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কমেছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে ব্লিংকেনই সর্বোচ্চ মার্কিন কূটনীতিক যিনি চীন সফরে যান। এরপর নভেম্বরে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। বাইডেন ও শি-র বৈঠকে ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছিল। ।

ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আর খারাপ না হলেও এখনো বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেছে। তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যেভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। চীন থেকে ফেন্টানিল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কম করার ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।

ব্লিংকেন তার সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন, চীন থেকে ফেন্টানিল ও সিন্থেটিক আফিমের মতো ওষুধ আসাটা কম করার বিষয়টি নিয়ে তিনি চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। চীনা কোম্পানিগুলি যাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা-শিল্পকে সাহায্য না করে সেজন্য চাপ দেবেন ব্লিংকেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে কূটনীতির আলাদা গুরুত্ব আছে। ভুল ধারণা ও ভুল বার্তা এড়ানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থরক্ষাটাও জরুরি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করে। তার কিছুদিন আগেই বেজিং রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সীমাহীন সম্পর্কের কথা ঘোষণা করে। চীন অবশ্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি। কিন্তু আমেরিকার অভিয়োগ, চীনা কোম্পানিগুলি রাশিয়াকে এমন প্রযুক্তি সরবরাহ করছে, যা য়ুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব।

ব্লিংকেন তার এই সফরে বাণিজ্যিক ও মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়েও কথা বলবেন। বিশেষ করে পশ্চিম শিনহুয়াতে মুসলিমদের প্রতি যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি তিনি তুলতে পারেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.