আমরা ইসরাইলের বন্দর ও তেল আবিবে আঘাত হানতে পারতাম: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, তেহরান কখনোই এ অঞ্চলে যুদ্ধ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ুক-তা চায় না। আমরা হাইফা এবং তেল আবিবে আঘাত হানতে পারতাম। এমনকি ইসরাইলের সমস্ত অর্থনৈতিক বন্দরকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারতাম, আমরা ইসরাইলের সরকারি ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেগুলোকে টার্গেট করিনি। তারপরও ইসরাইল যদি ভুল করে তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হবে নিষ্পত্তিমূলক, তাৎক্ষণিক এবং দুঃখজনক। ইরান সংযম দেখিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরে গিয়ে তিনি মার্কিন ‘এনবিসি নিউজ’ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন।

আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ইসরাইল যেসব ঘাঁটি ব্যবহার করে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল সেইসব ঘাঁটিকেই ইরান লক্ষ্যবস্তু করেছে। সফল অভিযান শেষে আমরা আমেরিকাকে এক বার্তায় জানিয়ে দিয়েছি-ইসরাইলি বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। কাজেই ইসরাইল যেন সংঘাত না বাড়ায় সেই পরামর্শ দেয়ার জন্য আমরা আমেরিকাকে বারবার বলেছি। নেতানিয়াহু নিজের জন্য এবং তার সরকারের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল যদি ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দুঃসাহস দেখায় তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে আগের চেয়ে ভিন্ন। আমাদের পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়া ছিল ন্যূনতম এবং সীমিত। কিন্তু এবারের জবাব হবে ভিন্নতর এবং ভয়াবহ।

ইস্ফাহানে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি  বলেন, গতরাতে যা ঘটেছিল তা হল দু-তিনটি মাইক্রো-বার্ড এবং কোয়াডকপ্টার তাৎক্ষণিকভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ ওই কোয়াডকপ্টার পাঠানোর কথা স্বীকার করেনি। হামাসকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে নয় বরং একটি জনপ্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলন বলে উল্লেখ করেন তিনি। হামাস দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি মুক্তি আন্দোলন বলেও মন্তব্য করেন আবদুল্লাহিয়ান। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.