ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টার দিকে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে এ হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত এবং শিশুসহ আরও ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। চেরনিজিভ অঞ্চলটি ইউক্রেনের উত্তরে বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত। রাশিয়ার আগ্রাসনে এই অঞ্চলটির বেশকিছু এলাকা হাতছাড়া হয়েছিল ইউক্রেনের। তবে দুই বছরের যুদ্ধে সেসব এলাকা আবার পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেন।
ইউক্রেন সরকারের প্রকাশিত ছবিতে হামলাস্থলে একটি রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় উদ্ধারকর্মীদের ছুটোছুটি করতে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আহতদের খুঁজে বের করতে। আহতদের এ সময় স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
চেরনিজিভের বাসিন্দা ওলগা সামিওলেঙ্কো জানান, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হয়, তখন তিনি সব আশা ছেড়ে দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টের করিডোরে সন্তানদের নিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। আমাদের প্রতিবেশীরাও সেখানে চলে এসেছিল। আমরা এ সময় সবাইকে নিচে নেমে আসার জন্য চিৎকার শুরু করি। এরপর আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়। এরপর আমরা পার্কিং লটের দিকে দৌড়ে চলে যাই।
হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইউক্রেনকে রক্ষায় আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা হতো না যদি ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা হতো।’
গতকাল বুধবার ইউরোপীয় কাউন্সিলে এক ভিডিও লিঙ্ক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ইসরায়েলে যে ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা হয়েছে, সে ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ইউক্রেনকেও দেওয়া উচিত।
এদিকে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ইউক্রেনে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য পাঠানোর জন্য ভোটাভুটি আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রতিনিধি পরিষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.