আইপিডিসি’র নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) হিসেবে রিজওয়ান দাউদ সামসের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রিজওয়ান দাউদ সামস কোম্পানির এমডি হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করছেন।

২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি’র দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে আইপিডিসিতে যোগদান করার পর থেকে রিজওয়ান দাউদ সামস বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে ২০২১ এর এপ্রিলে আইপিডিসি’র এ যাবৎকালের প্রথম অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নীত হন।

আইপিডিসি ২০১৫ সাল থেকে যে সার্বিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাত্রা শুরু করে তাতে রিজওয়ান দাউদ সামস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আইপিডিসিকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে রিজওয়ান দাউদ সামসের অবদান অনস্বীকার্য। সিএমএসএমই ফাইন্যান্সিং, রিটেইলার ফাইন্যান্সিং এবং সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্সিং এর জন্য ভ্যালু চেইন ফাইন্যান্সিংয়ে তার গৃহীত বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ আইপিডিসিকে এনে দেয় দেশ-বিদেশের নানা স্বীকৃতি। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিকালে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের পাশে থাকতে তাঁর প্রচেষ্টা কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ইন্ডাস্ট্রির বিবেচনায় আইপিডিসি’র খেলাপি ঋণের মাত্রা ঈর্ষণীয় অবস্থানে রাখতে রিজওয়ান দাউদ সামস অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। আইপিডিসি’র ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টকে পুনর্গঠন করে তিনি কোম্পানির লিক্যুইডিটির ভালো অবস্থান সুনিশ্চিত করেন।

আইপিডিসিতে যোগদানের পূর্বে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক ও জিএসপি ফাইন্যান্স এ গুরুত্বপূর্ণে ভূমিকায় কাজ করেন। রিজওয়ান দাউদ সামস মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এর পূর্বে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি জার্মানি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং ভারতে বিভিন্ন বিজনেস ট্রেনিং ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

নতুন এই দায়িত্বপ্রাপ্তি বিষয়ে রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঘোষিত হওয়া আমার জন্য একই সাথে আনন্দের ও গর্বের একটি বিষয়। ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে স্বল্প খেলাপি ঋণহারযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের মানকে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে এবং স্টেকহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রকগোষ্ঠীর সাথে ফলপ্রসূ সমন্বয়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের আর্থিক খাতের জন্য উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নয়নে সমৃদ্ধ এক নতুন আগামীতে প্রবেশ করবো এবং আমাদের এগিয়ে চলার ভিত্তিতে বরাবরের মতো বিশেষ প্রাধান্য পাবে টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, তরুণদের উৎসাহ প্রদান এবং সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে থাকা। আইপিডিসি’র সমস্ত স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য পূরণে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে চলার সাথে সাথে আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য আন্তরিক সেবা সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাবো সততা ও নিষ্ঠার সাথে।”

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.