ঈদের লম্বা ছুটিতে ব্যাংক, এটিএম বুথ কতটা নিরাপদ?

এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বেশ কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে ব্যাংক। এ সময় গ্রাহকদের অর্থ লেনদেনে ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ছুটিতে বিকল্প সব ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পাশাপাশি এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থান রাখা হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই জালিয়াতির নিত্য নতুন বিভিন্ন পন্থার কথা শুনতে হয়। তাতে করে এটিএম বুথে ঢুকলে ভয় লাগে বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।

অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন জাহিদ হাসান। তিনি অর্থসূচককে বলেন, জালিয়াতির নিত্য নতুন যেসব পন্থার কথা শুনি মাঝে মধ্যে, তাতে করে এটিএম বুথে ঢুকলে ভয় লাগে। কার্ডের লেনদেনে সমস্যা হলে তার প্রতিকার নিয়েই উদ্বেগ লাগে। আর ঈদের সময় বা এ ধরণের লম্বা ছুটিতে তো পুরোপুরি কার্ড আর এটিএম বুথ নির্ভর থাকি। তাই আরও বেশি ভয় লাগে।

গ্রাহকদের ভয় কাটাতে ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

এ বিষয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বুথে প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা বুথ ও লেনদেনগুলো সেন্টার সিকিউরিটি সিস্টেম ও কল সেন্টার থেকে মনিটর করা হচ্ছে। গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য সফটওয়্যার সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। টাকা নিয়ে গ্রাহকের উদ্বেগের কিছু নেই।

এদিকে গ্রাহকদের অর্থ লেনদেনে কোনোরকম ভোগান্তিতে পড়তে যেন না হয়, এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এবিষয়ে অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছে। অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখা, পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় এটিএম বুথের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত তার সমাধান করতে হবে। পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে ও বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যবসায়িক ও নিজস্ব কেনাকাটায় নগদ অর্থের ব্যবহার কমছে। অধিকাংশ মানুষ লেনদেনে ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করছে। ঈদের সময় বা এ ধরণের লম্বা ছুটিতে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য শহরের মানুষ গ্রামে চলে যায়। এসময় পুরো শহর জনশূন্য হয়ে পড়ে। ব্যাংকের বুথের আশেপাশে দুএকজন মানুষ চোখে পড়ে। এসময় এটিএম বুথে ঢুকলে ভয় লাগে বলে জানায় অনেক গ্রাহক।

এদিকে ঈদের ছুটি চলাকালে যেকোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য খুদে বার্তার মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে বলা হয়েছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্কতা অবলম্বনে প্রচার-প্রচারণা চালানো ও গ্রাহককে হয়রানি করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.