সরকারি দলের লোকজনের লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে জনগণের ঈদের উৎসব ম্লান হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। ঈদযাত্রা, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস, দলের নেতা-কর্মীদের নিপীড়নসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আর্তি শোনা যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ উদ্যাপনের বিপরীতে মধ্যবিত্ত মানুষেরা মুখ লুকিয়ে কাঁদছেন।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টেনে সিন্ডিকেটের হোতা ও সরকারের আস্থাভাজন ব্যক্তিরা ব্যস্ত লুটপাট, দুর্নীতি ও বিরোধী মতকে দমন-পীড়নে। সমাজে তৈরি হয়েছে ধনী ও গরিবের বিশাল ব্যবধান। অধিকাংশ মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটানোই এখন দুঃস্বপ্ন। জনজীবনের ঈদ উৎসব ম্লান হয়ে হয়ে গেছে।
ঈদের প্রাক্কালে বিভিন্ন পথে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে ঘরমুখী যাত্রীরা দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। বিমানের ভাড়া কল্পনাতীত ও ট্রেনে মানুষ টিকিট পাচ্ছেন না বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, সড়ক-মহাসড়কে কোনো যানজট বা হয়রানি নেই। মন্ত্রীর এ বক্তব্য জনগণের সঙ্গে তামাশা।
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের প্রসঙ্গে রুহুল কবির বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বাসের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। পরিবহন খাত আপাদমস্তক অনিয়ম–দুর্নীতির কারখানা। ঈদ উপলক্ষে সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে।
তৈরি পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকেরা সোমবার বিকেল পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পাননি দাবি করে রুহুল কবির বলেন, ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকেরা বেতন না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তাঁদের ঈদের আনন্দ চোখের পানিতে ভাসছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এবারও পরিবার ছাড়া ঈদ উদ্যাপন করতে হবে জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছয় বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ অবস্থায় বন্দী রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। সরকার গায়ের জোরে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.