সম্প্রতি আবারও পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়েছেন বাবর আজম। মাঝে পুরো দলসহ ছিলেন আর্মী ট্রেনিংয়ে। মাস দুইয়েক পরই বিশ্বকাপ, তার আগে পুরো দলকে ফিট করে তুলতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এমন উদ্দ্যগ। লম্বা সময় ধরে চলেছে বাবর-রিজওয়ানদের এই ট্রনিং।
নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া বাবরের অধীনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবে পাকিস্তান। তবে ফরম্যাটটা যখন টি-টোয়েন্টি তখন তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কেননা, ২৯০ টি-টোয়েন্টি খেলা বাবরের স্ট্রাইক রেট ১২৯.৩২।
অবশ্য সম্প্রতি এক পডকাস্টে স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন বাবর। যা নিয়েই খোলামেলা কথা বলেছেন বাবার। বাবর বলেন, ‘লোকেরা স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলতেই থাকবে। আমি জানি না তাদের সমস্যা কোথায়। আমি একজন ভিন্ন খেলোয়াড়- আমি মাঠের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিই। ক্রিকেট দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, আর এখানে ম্যাচ জেতাই চূড়ান্ত লক্ষ্য।’
স্ট্রাইক রেট কম হওয়ার পেছনেও যুক্তি দিয়েছেন বাবার, ‘আমি কীভাবে ম্যাচ জিততে পারি, কীভাবে একটি ইনিংস তৈরি করতে হয় এবং সেই লক্ষ্যে অবদান রাখে এমন স্ট্রাইক রেট বজায় রাখার উপর মনোযোগ দিই। স্ট্রাইক রেট একটি আলাদা গল্প। ইনিংস গড়ে তোলা আর ম্যাচ জেতা ভিন্ন জিনিস।’
বাবর বলেন, ‘শেষ ওভারের তুলনায় প্রথম ছয় ওভারের জন্য ভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োজন। আমি আমার খেলা বুঝি। আমি জানি কিভাবে সামঞ্জস্য করতে হয়। পরিস্থিতি আমার খেলা নির্দেশ করে। অনুমতি দিলে আমি অবশ্যই আক্রমণাত্মক খেলব। উইকেট থাকলে, আমি উচ্চ স্ট্রাইক রেট নিয়েও আক্রমণাত্মক খেলতে পারি। তবে আমি যতই ভালো খেলি না কেন, কেউ কেউ সবসময় আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমস্যা খুঁজে পাবেই। তারা গোলপোস্ট সরিয়ে নেবে ১৫০, তারপর ১৭০, তারপর ২০০-তে। তবে প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্টাইল আছে। আমি নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করি না।’
এদিকে আইপিএল রাজস্থান রয়ালসের বিপক্ষে ৬৫ বলে সেঞ্চুরি করেও সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বিরাট কোহলিকে। অনেকে বলছেন কোহলি ধীরগতিতে খেলেছে বিঁধায় আরসিবি ২০০ করতে পারেননি। আবার অনেকে তার স্ট্রাইক রেট নিয়েও তুলছেন প্রশ্ন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.