আইপিএলের আগে দুই মাস বিশ্রামে ছিলেন বিরাট কোহলি। মূলত দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের কারণে ক্রিকেট থেকে বিরতিতে ছিলেন তিনি। গুঞ্জন আছে দীর্ঘ বিরতির কারণে কোহলিকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত।
যদিও আইপিএলে কোহলি আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ইনফর্ম এই ব্যাটারকে রেখে বিশ্বকাপে গেলে আক্ষেপেই পুড়তে হতে পারে ভারতকে। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি। এ নিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোহলির নামের পাশে আটটি সেঞ্চুরি রয়েছে। অবশ্য রাজস্থানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট হাতে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না কোহলি। প্রথম ১০ বলে তার রান ছিল ১২। সেখান থেকেই দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন তিনি। শুরুতে ফাফ ডু প্লেসি তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। এরপর প্রায় একা হাতেই বেঙ্গালুরুকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের ভাবনা নিয়ে কখনো খেলতে নামি না। আক্রমণ করব না ধরে খেলব এই ভাবনা মাথাতেই থাকে না। আজ এক সময় ১০ বলে ১২ রান ছিল আমার। তখনও অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলতে যাইনি। বোলারকে ভাবতে বাধ্য করেছি। বোলারেরা সব সময় চায় আমি যাতে শট খেলি এবং আউট হই। কিন্তু এত দিনে এটুকু অভিজ্ঞতা এবং পরিণত মানসিকতা আমার হয়েছে যাতে ওদের ভাবাতে পারি। আমি পরিবেশ এবং পিচ অনুযায়ী খেলি।’
অবশ্য আইপিএলে রেকর্ডের হিসাবে এটি এই টুর্নামেন্টের ধীরতম সেঞ্চুরি। এদিন ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেন কোহলি। যা মানিষ পান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে আইপিএলের মন্থরতম সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালের আইপিএলে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পান্ডে। এবার তার পাশেই বসলেন কোহলি। ভারতীয় এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৭২ বলে ১১৩ রান করে। স্ট্রাইক রেট দেড়শর উপরে থাকলেও কোহলি জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য মাঠের থেকে এখানকার উইকেট একটু আলাদা। দেখে মনে হবে ফ্ল্যাট উইকেট। কিন্তু বল পড়ে ধীরে ব্যাটে আসছে। স্পিনারদের ক্ষেত্রে হঠাৎই বলের বাউন্স বদলে যাচ্ছে। মাঠে আয়তনটাও অন্য রকম। আমরা ভেবে রেখেছিলাম ১৯০-১৯৫ রান তুলব। তার পরেই ঠিক করি, আমি বা ফাফের মধ্যে কেউ আউট হলে একজনকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.