আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নিহত ৬

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর শহরে কন্টেনারবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়েছে নদীতে। এ ঘটনায় ছয় জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙেছে, সেটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী একটা কন্টেনারবাহী জাহাজ। জাহাজে ২২ জন কর্মী ছিলেন। সকলেই ভারতীয়। সব কর্মীই নিরাপদে আছেন। ধাক্কা লাগার আগে জাহাজটির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। জাহাজ থেকে এসও এস-ও পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা নিখোঁজদের উদ্ধার করার জন্য অপারেশন বন্ধ করেছে। ধরে নেয়া হচ্ছে, ছয়জন আর বেঁচে নেই। এই ছয় শ্রমিক সেতুর উপরে সারাইয়ের কাজ করছিলেন।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের তরফে রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরেথ জানিয়েছেন, ‘অনেকটা সময় ধরে আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। সেই সময়ের কথা মাথায় রেখে, পানির তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে হচ্ছে, আর কাউকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়।’

আকাশ থেকে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, ধাক্কার পর সেতুটি কীভাবে ভেঙে পড়েছে। আকাশ থেকে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, ধাক্কার পর সেতুটি কীভাবে ভেঙে পড়েছে।

ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(এনটিএসবি) বাল্টিমোরে্র সেতু ভেঙে পড়ার তদন্ত করছে। সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার পরই তারা তদন্ত শুরু করবেন। কী করে সেতু ভাঙলো তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। জাহাজটির বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও তার সেতুতে ধাক্কা মারার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখবেন। কেন এই দুর্ঘটনা হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

মার্কিন পরিবহন সচিব জানিয়েছেন, এই সেতুটি ছিল বাল্টিমোরের অন্যতম প্রতীক। আমেরিকার উন্নত পরিকাঠামোর একটা নিদর্শন। এটা তাই কোনো সাধারণ সেতু ছিল না।

বাল্টিমোর হলো আমেরিকার অন্যতম ব্যস্ত বন্দর এবং এই বন্দর দিয়ে গাড়ি প্রস্তুতকারকরা তাদের গাড়ি অন্যত্র পাঠান।

জেনারেল মোটরস একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার খুব বেশি প্রভাব তাদের উপর পড়বে না। তারা আপাতত অন্য পথ ব্যবহার করে বন্দরে গাড়ি পাঠাবেন।

আমেরিকয় ফকসওয়াগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া তাদের উপর পড়বে না।

বিএমডাব্লিউ ডানিয়েছে, বন্দরের কার ডক সমুদ্রের দিকে। তাই তাদের গাড়িভর্তি ট্রাকগুলি অন্য পথ ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছে যাবে্।

মার্সিডিজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তবে তাদের গাড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে বলে তারাও মনে করছে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.