গাজাবাসীর প্রতি ইরানের সমর্থন ছিল, আছে ও থাকবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ফিলিস্তিনি জনগণ বিশেষ করে গত ছয় মাস ধরে ভয়াবহ ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার গাজাবাসীর প্রতি ইরানের সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ইরানের অপরিবর্তনীয় নীতি বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গতকাল তেহরান সফরে এসে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আপাদমস্তক অস্ত্রে সজ্জিত ইসরাইলি বাহিনীর অপরাধযজ্ঞের সামনে গাজাবাসী ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য ও অবিচলতা’ প্রদর্শন করেছে উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, তাদের অটল অবস্থান ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে এনেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গত জানুয়ারি মাসে লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় শহীদ হামাস নেতা সালেহ আল-আরুরির স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী তাঁর সঙ্গে একাধিকবার আরুরির সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ আন্দোলনে আরুরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সাক্ষাতে চলমান যুদ্ধে গাজাবাসীর প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানানোয় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ইসমাইল হানিয়া। তিনি গাজা যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং সেখানে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত রাজনৈতিক আলোচনার সর্বশেষ খবরাখবর ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে জানান।

হানিয়া বলেন, গাজায় ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরাইল গত অক্টোবরে যুদ্ধের শুরুতে যেসব লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল তার একটিও অর্জন করতে পারেনি।

সোমবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস করার পরদিন হানিয়া তেহরান সফরে এলেন। নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। হানিয়া মঙ্গলবার সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.