ভেটো না দেওয়ায় আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি গতকাল (সোমবার) নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী ১০ সদস্য উত্থাপন করে এবং ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি সদস্য দেশ সর্বসম্মতিক্রমে এতে সমর্থন জানায়। তবে আমেরিকা ভোটদানে বিরত ছিল।

এর আগে গাজা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তিনবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। গতকাল পাস হওয়া প্রস্তাবে পবিত্র রমজান মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে যে সমস্ত ইসরাইলি বন্দী রয়েছে তাদেরকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রস্তাব অনুসারে যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় তাহলে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পবিত্র রমজান মাসে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য, প্রস্তাবে বলা হয়েছে- প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হলে, চূড়ান্তভাবে তা দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে।

নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার পরপরই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস একে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যর্থতা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

তবে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় এবং ওয়াশিংটন তাতে ভেটো না দেয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় যুদ্ধ প্রচেষ্টা ও বন্দীদের উদ্ধার প্রক্রিয়া- দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের ওয়াশিংটন সফর বাতিল করে দেন নেতানিয়াহু। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করতে চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের একটি সিনিয়র প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.