গাজায় নারীদের হত্যার আগে ধর্ষণ করছে ইসরাইলি সেনারা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালে হানা দিয়ে শত শত ফিলিস্তিনিকে নির্বিচারে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। ওই হাসপাতালে অবস্থানরত একজন ফিলিস্তিনি নারী বলেছেন, দখলদার সেনারা নারীদের হত্যা করার আগে তাদেরকে ধর্ষণ করেছে।

জামিল আল-হিসি নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শী কৌশলে দখলদার সেনাদের হাত থেকে পালিয়ে হাসপাতালের বাইরে এসে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে অবস্থানরত নারীদের ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি তাদের বাঁচানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

জামিলা বলেন, ইসরাইলি সেনারা আল-শিফা হাসপাতালে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬৫টি পরিবারকে সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর ওই পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিলে ওই ভবনটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় দখলদার সেনারা। ফলে ওই পরিবারগুলোর সকল সদস্য জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে ইফতার করার জন্য এক ফোঁটা পানিও ছিল না এবং আমরা বুঝতে পারছিলাম না যে, আমরা কোথায় যাবো।

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করার আগে দখলদার ইসরাইল দাবি করেছিল, শিফা হাসপাতালের নীচে ভূগর্ভে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে। এরপর তারা ডিসেম্বর মাসে ওই হাসপাতালে ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে শত শত রোগী ও আশ্রয়গ্রহণকারীকে হত্যা করা সত্ত্বেও হামাসের কমান্ড সেন্টার খুঁজে পায়নি। সে ঘটনার তিন মাস পর আবারও গাজার এই সর্ববৃহৎ হাসপাতালে আগ্রাসন চালায় দখলদার সেনারা। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.