অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ

আগের কয়েক সিরিজের পারফরম্যান্স বড় আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এসে কঠিন বাস্তবতা দেখল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশের মেয়েরা। ৬ উইকেটে হেরে সিরিজ হারতে হল বাংলাদেশকে।

এদিন জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে’তে দুই উইকেট হারালেও দেখে শুনে এগোতে থাকে অজিরা। রান আউট হয়ে ফেরেন ফিবি লিচফিল্ড। ৫ রানে তিনি ফিরে গেলে এলিসা হিলিকে বিদায় করেন রাবেয়া খান। তৃতীয় উইকেট হিসেবে সুলতানা খাতুন বেথ মুনির উইকেট তুলে নিলেও এলিসি পেরি ও তাহিলা ম্যাগ্রার ব্যাটে ৫০ পার করে অজিরা। তবে জ্যতির চতুরতায় রান আউট হন তাহিলা। তবে পেরি ও অ্যাশলে গার্ডনার মিলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৪৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন পেরি। ২৩.৫ ওভারে জয় পায় অজিরা।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বনিম্ন স্কোর ৬০ রান। ১২ বছর আগে সাউথ আফ্রিকা নারী দলের বিপক্ষে সেই তিক্ততার কথা স্মরণ করার কারণ, আজ মিরপুরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চোখ রাঙিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। শেষ পর্যন্ত যদিও সেটা না হয়নি। কিন্তু তারপরও অস্ট্রেলিয়া মেয়েদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৭ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিল একই চিত্র।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ছিল চাপে। অস্ট্রেলিয়া পুরো ইনিংস জুড়েই বোলিং করিয়েছে স্পিনারদের দিয়ে। শুধু মাত্র এলিসি পেরি ও মেগান স্কট মিলে করেছেন ৯ ওভার। আর অজি স্পিনারদের সামাল দিতে না পেরে উইকেট বিলিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৪ রানের মধ্যে দলের সেরা চার ব্যাটার নেই। ওপেনার ফারজানা হক ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা শিকার বাঁহাতি স্পিনার সফি মলিনিওর। ৫২ বল খেলে ফারজানার নামের পাশে মাত্র ৭ রান। নিগারের ব্যাট থেকে আসে একরান। আরেক ওপেনার সোবহানা মোস্তারিও ধুঁকতে ধুঁকতে তিনরানে আউট হয়েছেন। তাঁর ২০ বলের ইনিংসটি শেষ হয় মেগান স্কটের বলে ইয়ান হিলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। পাঁচ রান করলেও বল খেলার দিকে পিছিয়ে ছিলেন না মুর্শিদা খাতুন।

অ্যাশলি গার্ডনারের বলে আউট হওয়ার আগে ২৪ বল খেলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি। ২৫ রানের এই জুটিতেই মূলত সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা কাটায় বাংলাদেশ। রিতু মনিকে ১০ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সফি মলিনিও। পরের ওভারেই অ্যালানা কিংয়ের বলে ১১ রান করে আউট হন ফাহিমা। ৫২ রানে ৬ উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোর যে রানে থেমেছে তার কিছুটা কৃতিত্ব পেতে পারেন নাহিদা আক্তার।

নীচের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই করে যান নাহিদা। তার সঙ্গীরা অল্প অল্প সঙ্গ দিলেও দলকে ১০০’র পথে নিয়ে যেতে থাকেন নাহিদা। কিন্তু দলীয় ৯৭ রানে অ্যালানা কিংকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাহিদাও আউট হন ৩০ গজে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। অজিদের হয়ে মলিনিউ নেন ৩ উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.