ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অবিচল তাইজুল

প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, মুমিনুল হকরা। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনেও চলল বাংলাদেশের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। শ্রীলঙ্কার পেস আগুনে পুড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং লিটন দাস। তবে একপ্রান্তে অবিচল রয়েছেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত ৪১ রানে।

আগের দিনের ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং তাইজুল। সকালের শুরুতে খানিকটা সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন তারা দুজন। তবে এদিন দুজনের জুটি ৫ ওভারের বেশি টিকতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। প্রথম সেশনে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই জয়কে নিজের শিকার বানিয়েছেন লাহিরু কুমারা। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে তৃতীয় স্লিপে থাকা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়েছেন জয়।

অনেকটা সময় টিকে থাকা জয়কে ফিরতে হয় ৪৬ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে। তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। সুযোগ পেলেই চার মেরে রান বের করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে শাহাদাত দিপুকে থিতু হতে দেননি লাহিরু। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করলেও বাড়তি বাউন্সের কারণে এজ হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন। তরুণ এই ব্যাটারকে ফিরতে হয়েছে ১৮ রানে।

শাহাদাত দিপুর মতো শুরু করেছিলেন লিটন দাসও। তবে অন্যদের মতো তিনিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লাঞ্চে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে লিটনকে ফেরায় শ্রীলঙ্কা। লাহিরুর অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। লিটন দাস ২৫ রানে ফিরলে আরও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। আর কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে যান মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.