ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের কাছে ছয় দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, রাজধানী জাকার্তায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ সময় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটের দিকে জাভা দ্বীপের কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৮ কিলোমিটার বা ৫ মাইল।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া য়ায়নি।

সুরাবায়া শহর ও উপকূলীয় শহর তুবানসহ পূর্ব জাভা প্রদেশে ভূমিকম্পটি বেশি অনুভূত হয়েছে।

সেখানের এএফপির সাংবাদিক ইউলিয়ানুস আন্দ্রে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। ঝাঁকুনি আমাদের অস্থির করে তুলে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুবা এলাকায় দুইটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০০৯ সালে পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাদাংয়ে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তাতে ১১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে ও আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ধ্বংস হয়ে যায় বহু বাড়িঘর ও স্থাপনা।

তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। সে সময় ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি আঘাত হানে। একসঙ্গে দুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তখন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।

মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থান হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। তবে শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই একই কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

সূত্র: এএফপি

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.