২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সবশেষ বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া নারী দল। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। আজ থেকে শুরু হয়েছে এই দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
এদিকে আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। অ্যানাবেলের সাদারল্যান্ডের হাফ সেঞ্চুরি ও আলানার ঝড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তুলেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা।
বোলাররাও শুরু থেকে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। বিশেষ করে সুলতানা খাতুন ২১ রানেই ফিরিয়ে দেন দুই টপ অর্ডার ফোব লিচফিল্ড এবং এলিসে পেরিকে। মারুফা তুলে নেন অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির উইকেট। এরপর তাহলিয়া ম্যাকগ্রাকে ফিরিয়ে দেন নাহিদা আক্তার। ২৫ রান করে দলীয় ৭৮ রানের মাথায় ফিরে যান বেথ মুনিও।
অ্যাশলে গার্ডনার ৩৮ বলে করেন ৩২ রান। জর্জিয়া ওয়ারেহাম ২১ বলে ১২ রান করে ফিরে যান স্বর্ণা আক্তারের বলে। তবে ৮ম উইকেট জুটিতে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং অ্যালানা কিং ৬৭ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন। ৭৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাদারল্যান্ড। ৩১ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যালানা কিং। ২টি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন এবং নাহিদা আক্তার। ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, ফাহিমা খাতুন এবং স্বর্ণা আক্তার।
এদিকে ২০২২-২৫ আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় খানিকটা ‘বাধ্য’ হয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলতে হচ্ছে অজিদের। আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তুর্ভূক্ত হওয়ায় প্রতিটি ম্যাচের জন্য থাকছে ৩ পয়েন্ট।
গত বছরের ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকায় সিরিজ খেলতে গিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি এবং একটি ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও সেবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল) করেছিল জ্যোতির দল। সেই সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছিল দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তারও আগে, গত বছরের জুলাইতে ঘরের মাঠে ভারতকে একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টিতে হারায় বাংলাদেশ। সেবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও ওয়ানডে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করে (বাংলাদেশের বোলারদের নৈপুণ্যে একটি ম্যাচ টাই হয়েছিল) জ্যোতির দল। সেই সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশের বোলাররা।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.