শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতেও বসে ছিলেন মাঠের বাইরে। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে বল হাতে নিলেন ১টি উইকেট। তবে ৬ উইকেট পতনের পর উইকেটে নেমে যে ব্যাটিংটা করলেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। ১৮ বলে খেললেন ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুই ওভারেই নিয়েছেন ৪০ রান। অল্পের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি থেকে। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার সপ্তম উইকেটে ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটিই বাংলাদেশের জয়ের সঙ্গে সিরিজও নিশ্চিত করেছে।
যদিও রিশাদ হোসেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মানানসই বিশেষণ হবে ভেনি, ভিডি, ভিসি। এই ল্যাটিন শব্দত্রয়ীর অর্থ এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলে ফিরেই যেন নিজেকে নতুন করে চেনালেন তিনি। রিশাদ লম্বা সময় ধরেই আছেন বাংলাদেশ দলের রাডারে। ধারাবাহিকভাবে সুযোগ না পেলেও জমিয়ে রেখেছিলেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল রিশাদের। দুই ওয়ানডেতেই ছিলেন উইকেট শূন্য।
তাইতো ম্যাচ শেষে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘প্রথমে তো বোলিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেগ স্পিনার আমাদের নাই, ওর যদি শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে দেখা হয় আমার মনে হয় ভালো বোলিং করছে। সাথে ব্যাটিংটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেরকম ছিল সেখান থেকে আরও উন্নতি করেছে মনে হয়। তবুও অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ওটা নিয়ে কাজও করছে। অবশ্যই অনেক খুশি। এরকম প্লেয়ার দলে থাকলে তো অবশ্যই ক্যাপ্টেনের জন্য অনেক সহজ হয়।’
শান্ত বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় খুব ভালো ফিল্ডার (রিশাদ)। ব্যাটিংটা উন্নত হচ্ছে আস্তে আস্তে। বোলিংটা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকেও যেভাবে বোলিং করেছে। মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটা উইকেট নিয়েছে। এটা অবশ্যই দলের জন্য ভালো। তবুও এখনই খুব বেশি এক্সাইটেড হওয়ার প্রয়োজন নাই। অনেক উন্নতির জায়গা আছে।’
২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন রিশাদ। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি ম্যাচে নিজের ব্যাটে-বলের দক্ষতা প্রমাণ দিয়েছেন। তবুও নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ৪টির বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। অবশ্য বল হাতে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.