জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসানের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে বলা হয়, আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বহিষ্কৃত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে বাঁচাতে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে জোর করে দায়মুক্তিপত্র লেখানো এবং সম্প্রতি ক্যাম্পাসে গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডে দায়িত্ব অবহেলা, ক্যাম্পাসে অপরাধমূলক ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ।
ধর্ষণকাণ্ডের পর পাঁচ দফা দাবিতে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি দাবি ছিল প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমকে অব্যহতি প্রদান।
আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রক্টর ফিরোজ ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অব্যাহতির দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে লাগাতার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
পরে গত ১৩ মার্চ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। এসময় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম ১৭ মার্চের মধ্যে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব না ছাড়লে নিজ ক্ষমতাবলে তাদের সরিয়ে দেবেন বলে উপাচার্য আশ্বাস দিলে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে সাময়িক প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। অধ্যাপক আলমগীর কবীর আগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.