রাফাহ ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে গাজাবাসীকে: নেতানিয়াহু

গাজায় ইসরায়েলের হামলা চালানোর পর প্রথম মিশরের রাফা সীমান্ত খোলা হয়েছিল। ওই সীমান্ত দিয়েই গাজায় ত্রাণ এবং মানবিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু রাফা সীমান্ত দিয়ে বেসামরিক মানুষকে গাজার বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। এতে গাজা-মিশরের সীমান্তে বহু মানুষ আটকে আছেন। তাদের সীমান্ত পার হতে দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রাফা সীমান্ত দিয়ে এবার সাধারণ মানুষকে গাজার বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফা। গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের হামলা শুরু করার পর প্রথমে আক্রমণ চালানো হয়েছিল উত্তরে। সে সময় বেসামরিক মানুষকে দক্ষিণে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রবিবার তিনি জানিয়েছেন, বেসামরিক মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে অভিযান চালানো হবে না। বরং ঠিক উল্টো কাজটিই করা হবে। রাফা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা যাওয়ার পরেই অভিযান শুরু হবে।

এদিকে সম্প্রতি মধ্য-প্রাচ্যে পৌঁছেছেন জার্মান চ্যান্সলর ওলফ শলৎস। দুই দিনের সফরে তিনি নেতানিয়াহু সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, সাধারণ ফিলিস্তিনের জনগণের মৃত্যু হচ্ছে। যেভাবেই হোক এই মৃত্যু বন্ধ করতে হবে। লড়াই যত দীর্ঘ হবে, মানুষের মৃত্যুও তত বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের দ্রুত ছাড়ার আবেদনও করেছেন শলৎস।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলির পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গাজা উপত্যকা এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণহত্যা শুরু করেছে ইসরাইল।

সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায় বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.