স্বর্ণ, বিটকয়েন ও শেয়ারের দামে পতন

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শুরু হয়েছিলো সূচকের উত্থানে। একই সপ্তাহে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেকেছিলো বিটকয়েন ও স্বর্ণের দাম। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে স্বর্ণ, বিটকয়েন ও শেয়ারের সূচক রেকর্ড উচ্চতা থেকে ছিটকে পড়েছে।

ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিউরিটি ডিলারস্ অটোমেটেড কোটেশনস (নাসডাক) সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার এস অ্যান্ড পি-৫০০ সূচকটি রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছেছিলো। তবে সপ্তাহের শেষে যেটি পতনের মুখে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার এস অ্যান্ড পি-৫০০ সূচকটি ৩৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে বিটকয়েন রেকর্ড ৭৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেকেছিলো। তবে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিটকয়েনের দামে ব্যাপত উত্থান-পতন হয়েছে। এসময়ের মধ্যে প্রতিটি বিটকয়েন সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৫০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। আর সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ৬৫ হাজার ৬০ ডলারে। অর্থাৎ ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত লেনদেনে পার্থক্য ছিলো।

এছাড়া গত সোমবার প্রতি ট্রয় আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ১৮৮ ডলারে উঠেছিলো। আজ এক ট্রয় আউন্স সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫৬ ডলারে। স্বর্ণের প্রতি আউন্সের দাম আগের দিনের চেয়েও কমেছে ৪ দশমিক ৪৯ ডলার। ফেডারেল রিজার্ভ জুনের মধ্যে সুদের হার কমিয়ে দেবে এমন খরবে বিনিয়োগকারীরা বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছিলো। এ কারণে শেয়ারগুলো কিছুটা লাভের পরিমাণ কমতে থাকে। পাশাপাশি স্বর্ণ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড উচ্চতা থেকে ছিটকে পড়েছে।

বিশ্বের পুঁজিবাজার গত সপ্তাহে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে। তবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পুরো সপ্তাহ জুড়ে পতনের মুখে ছিলো। সপ্তাহ জুড়ে কমেছে বাজার মূলধন ও টাকার পরিমাণে লেনদেন।

তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৩ টাকা কমেছে। সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.