৬ বছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা না নিলেই তামাদি

সঞ্চয়পত্রে সরকারি ঋণ আইন ২০২২ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলন না করলে সরকারের দায় তামাদি হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক গঠিত বা নিযুক্ত কোনো ট্রাস্ট ব্যতীত সরকার অন্য কোনো ট্রাস্টের কোনো প্রকার নোটিশ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে না; বা এরূপ কোনো নোটিশ দ্বারা সরকারকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে বাধ্য করা যাবে না; এবং এ ধরনের বিষয়ে সরকারকে ট্রাস্টি হিসাবে গণ্য করা যাবে না।

এ ছাড়া সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের সুদ বা মুনাফা বাবদ পাওনা অর্থ যে তারিখে পাওনা হয়েছে, ওই তারিখ থেকে ৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট পাওনা বাবদ সরকারের দায় তামাদি হয়ে যাবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর অধীন তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন না করে, কোনো ব্যক্তি এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ক্ষেত্র ও পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতীত, সরকারের দখলে বা হেফাজতে থাকা সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বা এতদসংক্রান্ত কোনো দলিল পরিদর্শন করতে বা এর কোনো তথ্য চাইতে পারবে না।

অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো দরখাস্ত বা আবেদনে মিথ্যা তথ্য বা বক্তব্য দেয়া হলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.