রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কতজন রেস্তোরাঁ শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, নাম-ঠিকানাসহ তাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যাসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আগুনে ৪৬ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শ্রমিকদের গ্রেফতার কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ আর. সোবহান।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন। এছাড়াও ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে। মামলায় অসংখ্য শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেফতার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক। কয়েকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালাও করেছে তারা। অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেফতার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.