ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ ও অটল অবস্থানের কারণে ইসরাইল চরম অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সব ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইহুদিবাদী সেনারা গাজাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া সত্ত্বেও তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তেমন কোনো ক্ষতিই করতে পারেনি। হামাস’সহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সামরিক সক্ষমতা ও যোদ্ধা অটুট ও অক্ষত রয়েছে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার তেহরানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পবিত্র কুরআনের একদল ক্বারী ও হাফেজের সঙ্গে এক ইফতার মাহফিলে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, গাজায় আমরা আজ প্রতিরোধের যে সর্বোচ্চ সীমা দেখতে পাচ্ছি তা পবিত্র কুরআন গভীরভাবে উপলব্ধি ও নিজেদের জীবনে তা বাস্তবায়নের ফসল। গাজায় আমরা দু’টি বিষয়কে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেখতে পাচ্ছি। এর একটি হচ্ছে, গণহত্যা, পাশবিকতা ও অপরাধযজ্ঞ এবং অন্যটি হচ্ছে প্রতিরোধ ও অটল অবস্থান।
গাজা উপত্যকায় অনাহারে-অর্ধাহারে ছোট ছোট শিশু ও নবজাতকদের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ঘটনা বিশ্ববাসীর সামনে পশ্চিমা সভ্যতার নির্লজ্জ পাশবিক দিক তুলে ধরেছে। মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ইহুদিবাদীরা চরম অপদস্থ ও লাঞ্ছনার শিকার হবে। এই মুহূর্তে গাজাবাসীকে সাহায্য করা মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইসরাইলকে যেকোনা ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হারাম ও অপরাধ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু আরব ও মুসলিম শাসক এ কাজ করে যাচ্ছে। এসব শাসক একদিন অনুতপ্ত হবে এবং তাদের এই অপরাধের ফল ভোগ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.