কিউইদের ইতিহাস গড়তে দিল না ক্যারি-কামিন্স

ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল আরও ২০২ রান। শেষ দু’দিন খেলার জন্য হাতে ছিল ছয় উইকেট। ৩৪ রানে ৪ উইকেট এবং ৮০ রাসে ৫ উইকেট হারানোর পর লক্ষ্যটা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে অসাধারণ এক জুটিতে দলকে তিন উইকেটের জয় এনে দিলেন অ্যালেক্স ক্যারি এবং প্যাট কামিন্স। সিরিজও অস্ট্রেলিয়া জিতে গেল ২-০ ব্যবধানে।

৪ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে হ্যাগলি ওভালে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অজিরা। ২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার হারাতে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ৬ উইকেট। কিন্তু কিউইদের সেই ইতিহাস গড়তে দেননি ক্যারি-কামিন্স।

বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ঘণ্টাখানেক বিরতির পর খেলা শুরু হলে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ট্রাভিস হেড। ৪৩ বলে ১৮ রান করা হেডকে তুলে নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। তারপর অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালান মিচেল মার্শ। দুজনে মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২২০ রানে ফিরে যান মার্শ। ১০২ বলে দশটি চার ও একটি ছক্কায় ৮০ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান বেন সিয়ার্স। পরের বলে মিচেল স্টার্ককেও শূন্য রানে ফেরান সিয়ার্স।

জয়ের জন্য তখনো ৫৯ রানের দূরত্বে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন ক্যারি। ১২৩ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই উইকেটরক্ষক। ৪৪ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন কামিন্স। চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ রান কিংবা এর বেশি লক্ষ্য এ নিয়ে ২০ বারের মতো তাড়া করে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দারুণ ইনিংস এবং উইকেটের পেছনে দশটি ক্যাচ ধরে ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারি। কিউইরা হারলেও পুরো সিরিজে ১০১ রান এবং ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন ম্যাট হেনরি।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.