পুঁজিবাজারে ৫৯৭১ পয়েন্ট দরপতন!

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৫ হাজার ৯৭১ পয়েন্ট দরপতন হয়েছে! শতাংশের হিসাবে সূচক কমেছে ৯৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স রাতারাতি ৬ হাজার ১১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট থেকে ১৪১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এমন তথ্য দিচ্ছে শেষের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট!

মূলত ডিএসইর ওয়েবসাইটে ফের বড় ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আর এর ফলে দিনের শুরু থেকেই ওয়েবসাইটিতে সূচক সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুল তথ্য দেখাচ্ছে। সূচকের লেখিচত্র বা গ্রাফ হালনাগাদ হচ্ছে না। তাই ওয়েবসাইট থেকে বাজারের প্রকৃত অবস্থা জানা যাচ্ছে না। বরং বাজারের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে এই সূচক।

আজ রোববার (১০ মার্চ) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শুরুতেই ওয়েবসাইটে এই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সকাল ১০টায় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। তখন থেকেই ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য দেখানো শুরু হয়।

আজ দুপুরে লেনদেনের মাঝখানে ডিএসইর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা সূচকের ত্রুটির বিষয়টি সমাধান করেছে। এখন সঠিক সূচক দেখাচ্ছে। এই দাবির কিছু সময় পরেই আবার ভুতুের নানা সংখ্যা দেখাতে থাকে ডিএসইর সূচকে। দিনের শেষ পর্যন্ত এটি বহাল থাকে। এমনকি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূচক সংশোধন হয়নি।

এদিকে ডিএসই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিএসইর সূচকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক পরিসংখ্যানের জন্য দায়ী অপারেশনাল ত্রুটি।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নাসডাক এর সাথে জরুরি বৈঠক করে তা সমাধানের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। একইসাথে ডিএসই প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) এ.জি.এম. সাত্বিক আহমেদ শাহ-কে প্রধান করে ৩ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ আজকের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করার আশা করে ।

এবিষয়ে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে এবং এই অনাকাংখিত সমস্যার জন্য ডিএসই দুঃখ প্রকাশ করছে৷

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যা টা ৩০ মিনিটে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ৯৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৪১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আলোচিত সময় পর্যন্ত বাজারে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৬১ টি কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দর।

এসময় শরীয়াহ সূচক ডিএসইএসের অবস্থান দেখানো হয় ৩০ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩০৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ৯৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।

অন্যদিকে বাজারমূলধনের দিক থেকে বৃহৎ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ এর অবস্থান দেখানো হয় ২ হাজার ৮৩ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ১০ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫০ শতাংশ কম।

 

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.