অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ত্রাণভর্তি বস্তার নীচে চাপা পড়ে দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা কর্তৃপক্ষ বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার ঘটনাকে শুরু থেকেই ‘চটকদার প্রচারণা’ বলে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, শুক্রবার গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিম অংশের আশ-শাতি শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ পাওয়ার জন্য মরিয়া লোকজনের উপর বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বস্তা সজোরে আঘাত করলে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন। বিমান থেকে ভুল পদ্ধতিতে ত্রাণ নিক্ষেপের কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের একাধিক বস্তায় লাগানো প্যারাসুট সঠিকভাবে না খোলায় সেগুলো সরাসরি ভূমিতে সমবেত অসহায় লোকজনের মাথার উপর আঘাত হানছে। ফলে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। কোন দেশের বিমান থেকে এই ত্রাণ ফেলা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ ঘটনায় আহতদের গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ আল শেখ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত ব্যক্তিদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর পাশবিক হামলা চালানোর পাশাপাশি উপত্যকাটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। এতে সেখানে খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলছে জর্দান, মিশর ও আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ।
এদিকে গাজার গণমাধ্যম অধিদপ্তর বলেছে, আকাশ থেকে এভাবে ত্রাণ ফেলার মূল উদ্দেশ্য চটকদার প্রচারণা; মানবিক তৎপরতা চালানো নয়। তারা এর আগেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছিল এবং শুক্রবার তাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দেরি হওয়ার আগেই চটকদার প্রচারণা বাদ দিয়ে গাজা উপত্যকার স্থল ক্রসিংগুলো খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার গণমাধ্যম অধিদপ্তর। পার্সটুডে
🚨🇵🇸BREAKING: THE AIRDROP THAT KILLED 5 PEOPLE
After a parachute failed to open, humanitarian aid dropped from the sky crushing 5 in Gaza, including 2 children.
With aid causing stampedes and accidents, maybe a ceasefire is a better solution? https://t.co/KBCCZJAypH pic.twitter.com/QaXvm4bpmF
— Mario Nawfal (@MarioNawfal) March 8, 2024
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.