২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে

কায়রোতে হামাসের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের প্রায় পাঁচ মাসের গণহত্যা বন্ধ করার আলোচনায় অংশ নিতে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল কায়রো সফলে গেছে।

হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো সদস্য খলিল আল-হাইয়্যা এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে মিশরের গণমাধ্যম। আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজান মাসের আগেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিনিধিদলটি কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবে।

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিটি হবে সাময়িক এবং এ সময় ৪০ জন ইসরাইলি পণবন্দির বিনিময়ে ৪০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশকারী ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের পাশাপাশি একটি মার্কিন প্রতিনিধিদলও কায়রো পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিশরের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারসহ হামাসের অন্যান্য দাবি মেনে নিলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।

এদিকে হামাসের আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, একটি ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ প্রতিষ্ঠার পথে দখলদার ইসরাইল বহু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও এখনও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি চুক্তি করা সম্ভব। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যেতে দেয়ার বিষয়ে এখনও মতৈক্য হয়নি।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পাঁচ মাস আগে যুদ্ধের শুরুতে বলেছিলেন, তিনি হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবেন না। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, যুদ্ধের ময়দানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি সেনাদের এতটা বিপাকে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন যে, তেল আবিব এখন সেই হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে গাজা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজছে। তা সত্ত্বেও এত সহজে আত্মসম্মান হারাতে রাজি নয় দাম্ভিক এই দখলদার শক্তি। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.