প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে যা বললেন শাহবাজ

পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তান মুসলীম লিগের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। রোবাবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হন। এরপর ভাষণ দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।

রোববার (০৩ মার্চ) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচিত হয়েই দেশের সংকট কাটানোর বিষয়ে নিজের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, দেশের ভাগ্য পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের সর্বস্তরের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

দেশের চলমান সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশীয় আয়ের ১২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন রুপির মধ্যে প্রদেশগুলোকে ন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড কমিশনের আওতায় সাত হাজার ৩০০ বিলিয়ন রুপি প্রদান করা হয়। এছাড়া সরকারকে ৭০০ বিলিয়ন রুপির অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবিলা করতে হয়। কেননা সার্ভিস চার্জের জন্য সরকারকে আট হাজার বিলিয়ন রুপি অর্থ খরচ করতে হয়।

শাহবাজ শরিফ বলেন, এসবের পর কোথা থেকে উন্নয়ন, স্বাস্থ্য আর শিক্ষা খাতের জন্য অর্থ আসবে? সশস্ত্র বাহিনীর সরকারি কর্মচারীদের বেতন কোথা থেকে দেওয়া হবে? বছরের পর বছর ধরে এসব অর্থ ঋণের মাধ্যমে সরবরাহ হয়ে আসছে। এখন দেশের জন্য এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যা আজ মোকাবিলা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আশার বাণী দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, সামনে আগায়ে যাওয়ার কাজটি কঠিন। তবে এটি অসম্ভব নয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ৬টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন।

অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। মূলত জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.