অধিনায়ক না থাকলেও রান করতে হবে: শান্ত

বিশ্বকাপ শেষে তিন সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব ইনজুরিতে সময় পার করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন শান্ত। এই দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্টও নেতৃত্ব দেন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের মৌসুমে যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পুরো মৌসুম জুড়েই ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এই টুর্নামেন্ট চলার মাঝেই অবশ্য জাতীয় দলে তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব পান শান্ত। ঘরের মাঠে আগামীকাল শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যুক্ত হবে ‘শান্ত অধ্যায়’।

বিপিএলের সবশেষ মৌসুমে প্রয়োজনে কখনও উইকেটে থিতু হয়ে পড়েছিলেন আবার কখনও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ে অবদান রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ এবারের বিপিএলে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। গত মৌসুমে তাওহীদ হৃদয়, জাকির হাসানদের সঙ্গে সমানতালে পারফর্ম করেছিলেন শান্ত। তাদের তিনজনের ব্যাটেই মূলত নিজেদের প্রথম মৌসুমেই ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দারুণ পারফর্ম করা শান্তকে তাই সরাসরি চুক্তিতে রেখে দেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে সিলেটের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি শান্ত।

সিলেটের প্রথম আসরে ৫১৬ রান করে বিপিএল সেরা হলেও এবারে শান্তর ব্যাটে ছন্দ ছিল না। গ্রুপ পর্বের ১২টি ম্যাচ খেলে ১৪.৫৮ গড় এবং ৯৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৭৫ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। জাতীয় দলে অবশ্যই সেই চিত্র বদলে ফেলতে চাইবেন নয়া অধিনায়ক।

শান্ত বলেন, ‘অধিনায়ক না থাকলেও রান করতে হবে। অধিনায়ক হলে যে আলাদাভাবে রান করতে হবে এরকম কিছু না। আমার কাছে মনে হয় যে সবার আগে আমি একজন ব্যাটসম্যান। আমার কাজ দলের হয়ে রান করা, যখন আমি ব্যাটিং করব। তারপরে আমার যে দায়িত্ব আছে সেটা আমি ব্যবহার করব মাঠে বা মাঠের বাইরে যেগুলো আছে। আলাদা করে দেখছি না যে আমি অধিনায়ক তাই ব্যাটিংয়ে আমার আলাদা করে কিছু করা লাগবে শুধু আমি যখন ব্যাটিং করব আমার দায়িত্বটা কী, এটা আমি শুধু পালন করার চেষ্টা করব।’

অধিনায়কের ভাবনা, ‘ওয়ানডেতে আমরা মাশাআল্লাহ ভালো করতেছি। আমার কাছে মনে হয় দল হিসেবে আমরা বড় কোনও টুর্নামেন্ট পাইনাই (শিরোপা)। ওই পরিকল্পনা নিয়ে আগাব যে আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি। টি-টোয়েন্টিতে গতবছর ভালো গেছে। টি-টোয়েন্টিতে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে আমার মনে হয়। আমরা যদি আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করি তাহলে মনে হবে যে যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো খেলছি। দিনের পর দিন খেলাগুলো যখন শুরু হবে তখন পরিকল্পনা আরও পরিষ্কার হবে।’

সাম্প্রতিক সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ সফল শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি জিতে তারই অধীনে সিরিজ ড্র (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়) করে বাংলাদেশ। এরপর একটি ওয়ানডেও সেখানে জিতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচও জিতেছেন অধিনায়ক শান্ত। লাল বলের ক্রিকেট বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.