ইতিহাস গড়া হলো না কিউইদের

লক্ষ্য ছিল ৩৬৯ রানের। ওয়েলিংটনে এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারলে রীতিমতো ইতিহাসই গড়তে হতো নিউজিল্যান্ডকে। যদিও সেই ইতিহাস আর গড়া হয়নি দলটির। লায়নের ঘূর্ণিতে খেই হারিয়ে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ফলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি জিতেছে ১৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

১১১ রানে তিন উইকেট চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। দিন শুরু করেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ড্যারিল মিচেল। চতুর্থ উইকেটে ১৬২ বলে ৬৭ রানের জুটি করেছিলেন তারা। এই জুটি ভাঙেন লায়ন। তার বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ১০৫ বলে ৫৯ রান করা রাচিন। টম ব্লান্ডেল (০) এবং গ্লেন ফিলিপসকেও (১) ফেরান এই স্পিনার। মূলত নিচের দিকে আর কেউ লড়তে না পারায় বড় হারই মেনে নিতে হয় স্বাগতিকদের। শেষদিকে ২৮ বলে ২৬ রান করেন স্কট কুগেলেইন এবং ১৫ বলে ১৪ রান করেন ম্যাট হেনরি।

মিচেল অবশ্য শেষ পর্যন্ত দলকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ছিলেন। যদিও শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন তিনি। জস হ্যাজলউডকে ফলো-থ্রু করে ক্যাচ হন তিনি। ফেরার আগে করেন ১৩০ বলে ৩৮ রান। এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬ উইকেট নিতে লায়ন খরচা করেন ৬৪ রান। প্রথম ইনিংসের ৪ আর এই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে গোটা ১০ উইকেট নিজের শিকার করেছেন লায়ন। এ ছাড়া ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন হ্যাজেলউড। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

প্রথম ইনিংসে ক্যামেরন গ্রিনের ১৭৪ রানের সৌজন্যে ৩৮৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে কিউইরা অলআউট হয় মাত্র ১৭৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৬৪ রানে। কিউইদের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.