রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে পুলিশ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বেইলি রোডের আগুন লাগার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন আটক আছে। তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’
এদিকে আগুনের এই ঘটনায় ‘চুমুক’ নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন ও ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক মো. জিসানকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু অভিযোগে একটি মামলা করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলেও করতে পারবে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভবনের মালিক থেকে শুরু করে যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ে চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এছাড়া ছিল ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’, ‘স্যামসাং’, ‘শেখ হোলিক ও ওয়াফে বে’ নামে চারটি শোরুম। দ্বিতীয় তলার পুরোটাজুড়ে ছিল ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট। তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি শোরুম। চতুর্থ তলায় ‘খানা’স’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা হাট’, ষষ্ঠ তলায় ‘স্টিট ওভেন’ ও ‘জেস্টি’ নামে দুটি রেস্টুরেন্ট এবং সপ্তম তলায় ‘ফোকুস’ ও ‘হাক্কা ডাকা’ নামে দুটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এছাড়া ভবনটির ছাদেও ‘অ্যাম্বোশিয়া’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছেন। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তাদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মর্গে রয়েছে দুজনের লাশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বাকি ছয় জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.